সংবাদ শিরোনাম
মোবাইল আসক্তি ঠেকাতে ও ক্যাম্পাসের পরিবেশ রক্ষায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজে অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ও মোটরসাইকেল নিষিদ্ধ বিজয়নগরে জালনোট তৈরির সরঞ্জামসহ তিনজন আটক ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত ছেলের কবরে বেড়া দিতে গিয়ে মারা গেলেন বাবা।। এলাকায় শোকের ছায়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে শিক্ষা সপ্তাহ’র উদ্বোধন ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরকে সম্প্রসারিত করে পরিকল্পিত নগরায়ন করা হবে: গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী মোকতাদির চৌধুরী এমপি কমলগঞ্জে শমশেরনগরে রেলপথ ঘেষে জমে উঠে অবৈধ পশুর হাট; দুর্ঘটনার আশঙ্কা নেটওয়ার্ক আধুনিকায়নের লক্ষ্যে বাংলালিংক ও হুয়াওয়ের চুক্তি ডেঙ্গু ঠেকাতে সোমবার থেকে মাঠে নামছে ডিএনসিসি অবৈধভাবে ভারতে গিয়ে আটকে পড়া ১৩ বাংলাদেশী দেশে ফিরেছেন শেষ হলো সাহিত্য একাডেমির ৭ দিনব্যাপী “বৈশাখী উৎসব।। সচিব খলিল আহমদকে বৈশাখী উৎসব সম্মাননা প্রদান

কক্সবাজারে টেকনাফের ইয়াবা কারবারীদের কোটি টাকার সম্পদ ক্রোক

কক্সবাজারে টেকনাফের ইয়াবা কারবারীদের কোটি টাকার সম্পদ ক্রোক

 সাকিব, সদর উপজেলা (কক্সবাজার) প্রতিনিধি  

কক্সবাজারের টেকনাফে ইয়াবা অর্থায়নে গড়ে তোলা  রাজপ্রাসাদের মতো দুইটি বাড়ি ক্রোক করেছে পুলিশ। আদালতের নির্দেশে র্শীষ তিন ইয়াবা ব্যবসায়ীর ওই বাড়ি ও জমি-জামা শনিবার ক্রোক করা হয়। এখন এসব সম্পদের রক্ষণাবেক্ষণ করবে পুলিশ। ক্রোক করা সম্পদের দাম ৪০ কোটি টাকার বেশি হবে বলে ধারণা পুলিশের।   

ক্রোক হওয়া সম্পদের মালিক তিন ইয়াবা ব্যবসায়ী হলেন- টেকনাফের নাজিরপাড়ার এজাহার মিয়া (৭০) এবং তার দুই ছেলে নুরুল হক ভুট্টো (৩২) ও নূর মোহাম্মদ ওরফে মংগ্রী (৩৫)। এর মধ্যে নুরুল হক ভুট্টো সরকারের করা ইয়াবা ব্যবসায়ীদের তালিকায় শীর্ষে রয়েছেন। এর মধ্যে দুই মাস আগে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নুর মোহাম্মদ নিহত হয়েছেন।

সরেজমিন দেখা গেছে, টেকনাফ মডেল থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাসের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল শনিবার সকাল থেকে দুপুর তিনটা পর্যন্ত টেকনাফের নাজির পাড়া ইয়াবার টাকায় বানানো রাজপ্রসাদের বাড়িগুলোতে রয়েছেন। এসময় আদালতে নির্দেশে ওই তিন ইয়াবা ডনের দোতলা দুই রাজপ্রসাদের মতো বাড়ি ক্রোক করা হয়। এক পর্যায়ে বাড়িতে থাকা লোকজনকে বের করে দিয়ে, বাড়িগুলো পুলিশের জিম্মায় নিয়ে নেওয়া হয়। এছাড়া তাদের জমি-জামাসহ ৪০ কোটি টাকার সম্পদ ক্রোক করা হয়।

ওই বাড়িতে থাকা এক নারী কান্না করে বলেন, ‘আমার এখন কেউ নেই, বাড়ি থেকে বের করে দিয়ে আমি কোথায় যাবো? আমার পরিবারের সদস্যরা ইয়াবা সঙ্গে জড়িত নয়। এ প্রসঙ্গে টেকনাফ মডেল থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাস বলেন, এই প্রথম আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী তিন ইয়াবা ডনের রাসপ্রসাদের মতো বাড়ি ক্রোক করা হয়েছে। সাথে তাদের জমি-জামাও ক্রোক করা হয়।

তিনি বলেন, এসব সম্পদগুলো এখন পুলিশের হেফাজতে থাকবে। আদালতে নির্দেশে পরবর্তী প্রদক্ষেপ নেওয়া হবে। যে বাড়িগুলো ক্রোক করা হয়েছে তারা এক সময় রিক্সা ও ভ্যান চালক ছিল। এখন তারা কোটি টাকার মালিক।

ওসি বলেন, ‘সীমান্তে লবণ চাষী, দিন মজুর, রিক্সা ও ভ্যান চালকরা মরন নেশা ইয়াবা বেচাকেনা করে টেকনাফে রাজপ্রাসাদের মতো বাড়ি বানিয়েছে ইয়াবা ডনরা। সারাদেশে মাদকবিরোধী অভিযান শুরু হলে এসব বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছে তালিকাভুক্ত ‘বাবা’রা (ইয়াবা ব্যবসায়ীরা)। আবার অনেকে গ্রেফতার ও বন্দুকযদ্ধে নিহত হয়েছে। ইয়াবার টাকায় যারা অবৈধ সম্পদের মালিক বনে গেছেন, পর্যাক্রমে তাদেরও একিই পরিণতি হবে।

পুলিশ জানায়, প্রতি বছরের ১৪ মে ক্রোক করা সম্পদের যাবতীয় আয়-ব্যয় সংক্রান্ত সার্বিক হিসাব আদালতে উপস্থাপন করা হবে। পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ সিআইডির দায়ের করা মামলায় গত ২৩ মে এই নির্দেশ দেন কক্সবাজারের জেলা ও দায়রা জজ খোন্দকার হাসান মো. ফিরোজ। এই প্রথম মাদক-সংক্রান্ত ঘটনায় মানি লন্ডারিং আইনে দায়ের করা মামলায় আদালত এই ধরনের আদেশ দিয়েছেন সংশ্নিষ্ট কর্মকর্তারা।

অভিযান পরিচালনাকারী দলে থাকা ওসি তদন্ত এমএস দোহা বলেন, বলেন, ইয়াবার টাকায় টেকনাফে অনেকে রাজপ্রসাদের মতো বাড়ি বানিয়েছেন। তার মধ্যে ইয়াবা ব্যবসায়ী ওই তিন বাড়ি দেখলে মনে হয়, এটা যেন কোন রাজার বাড়ি। এতো সুন্দর বাড়ি ঢাকা শহরে চোখে পড়েনি। এই প্রথম কোন ইয়াবা ব্যবসায়ীদের বাড়িসহ সম্পদ ক্রোক করা হয়েছে।

ইনাম/সময়নিউজবিডি টুয়েন্টিফোর।  

সংবাদটি পছন্দ হলে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © 2017 Somoynewsbd24.Com